1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কোন্দল বন্ধ করুন, নিজের দলের নেতাদেরই কড়া বার্তা মমতার

  • Update Time : শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ১৮৬ Time View

বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
কয়েকদিন ধরেই বাংলার শাসক দল তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা ও মন্ত্রীর মধ্যে মতপার্থক্য এবং সমালোচনা–পাল্টা সমালোচনা চলছিল। আমফান তাণ্ডবের পর নাম করেই কয়েকজন মন্ত্রী সরাসরি অন্য মন্ত্রীদের সমালোচনা শুরু করে দেন। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমেও প্রচারিত হয়। বিষয়টি ক্রমে মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এবার মুখ খুললেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, দলে থেকে আজেবাজে বকা যাবে না। প্রত্যেককেই শৃঙ্খলা মানতে হবে।

আমফানের বিপর্যয়ে যখন কলকাতা বেসামাল, তখন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে সরাসরি সমালোচনা করেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা পুরপ্রশাসক ও পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। বিপর্যয় পরবর্তী অবস্থা সামলাতে ফিরহাদ হাকিমকে কার্যত ব্যর্থ বলেই উল্লেখ করেন তিনি। অভিযোগ করেন, বিপর্যয় নিয়ে আগাম পূর্বাভাস যথেষ্ট ছিল। তবু কলকাতার বিধায়কদের নিয়ে কোনও বৈঠকই করেননি ফিরহাদ। তিনি এমনও জানান, কলকাতা পুরসভা পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ করছে। সাধন পান্ডের সমালোচনার জবাবও দেন ফিরহাদ। বলেন, ‘কেউ কেউ করোনার ভয়ে বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। তার পর সংবাদ মাধ্যমের কাছে বড় বড় কথা বলছেন। আমি বাড়িতে বসে নেই। করোনা ও আমফান —দুইয়ের বিরুদ্ধেই রাস্তায় থেকে লড়াই করছি।’

দুই মন্ত্রীর তর্ক দলের অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সাধন পান্ডেকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। এমনকী, তিনি এমন হুমকিও দেন, লকডাউন না চললে ১৫ হাজার লোক নিয়ে তিনি সাধন পান্ডেকে উচ্ছেদ করে ছাড়তেন। পরেশ পালের এমন হুমকিতে দলের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে শেষে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘পরেশ পালকে দলের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’ শুধু তাই নয়, এর পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি সাধন পান্ডে কেন দলের একজনের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছেন, তার কারণ জানতে চেয়ে তাঁকে শোকজ করেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ঘটনার সমাপ্তি কিন্তু তাতেও হয়নি। এর পর মুখ খোলেন রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী তথা বালিগঞ্জের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে তাঁর নিশানায় ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। সুব্রতবাবু নাম না করে তাঁর সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, ‘আমফানে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে। সাগরদ্বীপের অবস্থা শোচনীয়। অথচ এখানকার মন্ত্রীই সেই সাগরদ্বীপে একবারের জন্যেও যাননি!’ যদিও সুব্রতবাবুর কটাক্ষের কোনও জবাব মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা এখনও দেননি। এর পর আরও কয়েকজন বিধায়ক এবং মন্ত্রীর মধ্যেও মতপার্থক্য ঘটেছে বলে সূত্রের খবর।

বিষয়টি কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। শুক্রবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। দলের প্রত্যেক নেতাকেই কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেন তিনি। বলেন, ‘দলে থাকলে দলের নিয়ম মানতেই হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই হবে। দলে থেকে কেউ দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও রকম সমালোচনা করতে পারবেন না। কেউ যদি তা করতে চান, তা হলে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে করুন।’ এদিন এমন কথাও দলনেত্রী বলেন, ‘কলকাতার নেতাদের বলছি, যাঁরা যেখানে–সেখানে মুখ খুলছেন, তাঁরা ইচ্ছে করলে দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।’

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ কথার মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে সাধন পান্ডেকেই কড়া বার্তা দিয়েছেন। স্বাভাবিক কারণেই বিষয়টি নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সাধন পান্ডের কাছ থেকে। তবে আগামী বছর যেহেতু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, তাই এই এক বছর ধরে রাজ্যের রাজনীতিতে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..